ওশানটাইমস ডেস্ক : ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৩২:৪৫
সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে অনেক প্রাণীই আমাদের কাছে অপরিচিত। এই পৃথিবীর সমস্ত জলরাশির মাত্র ৫% আমরা আবিষ্কার করতে পেরেছি। এই মতামত সমুদ্র বিজ্ঞানীরা স্বীকার করে। তারাও বিশ্বাস করে যে সমুদের অনেক প্রাণীই এখনও আমাদের জ্ঞানের পরিসীমার বাহিরে। এজন্য বিজ্ঞানীরা এবং রিসার্চার নিরন্তর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। এ কারনে দিন দিন নতুন প্রজাতির প্রাণী বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিচে এমন কিছু প্রাণী সম্পর্কে তুলে ধরা হলঃ
সাইফনোফোরঃ
এরা মেডুসয়েড এবং পলিপয়েড প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে পড়ে। এই প্রাণীর প্রায় ১৭৫টির চেয়েও বেশি প্রজাতি রয়েছে।এদের দেখতে অনেকটা লাঠির মত। এরা লম্বায় ৪০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের শরীরে কাঁটা বা স্ট্রিং রয়েছে । তারা শিকার ধরার জন্য নিশ্চল ভাবে পড়ে থাকে এবং অপেক্ষা করে। সুযোগ পাইলেই শিকার এর উপর আক্রমন করে।
ফ্রিলড হাঙ্গরঃ
এরা অনেক বিরল প্রজাতির হওয়ার পাশাপাশি জীবন্ত জীবাশ্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। এদের দেখেও মনে হয় যে এরা অনেক পুরানো আমলের। এই প্রাণী তার উদ্ভট আকার আকৃতি এবং আচরনের জন্য এমন নামকরন হয়েছে। তবে এদের পাখনা এদের শরীরের পিছনের দিকে যা বাকি সব স্বাভাবিক মাছের থেকে কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির। অজানা সামুদ্রিক প্রাণী সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
গুজ বার্নাকলঃ
এই প্রাণীটি কোথা থেকে এসেছে কেউ জানে না। ২০১০ সালে ছুটির সময় সমুদ্র সৈকতে এদের দেখা পাওয়া যায় পেনিসুলা দ্বিপে। এটিদ দেখতে ৬ ফিট লম্বা এবং এদের সম্পূর্ন শরীর খোলস দ্বারা আবৃত। এরা দেখতে বড়ই অদ্ভুত প্রকৃতির। প্রকৃতিতে এরা ফিল্টারের মত কাজ করে। এ কারনে এদের পরিবেশ রক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে।
গোলাপি সামুদ্রিক প্রানীঃ
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক সসা নামের প্রাণী মুক্ত সাঁতার করতে দেখা যায়। এদের সম্পূর্ন শরির স্বচছ প্রকৃতির। এ কারনে এদের শরীরে একপাশ হতে অপর পাশেএবং শরীরের মধ্যে কি আছে তা সম্পূর্ন দেখা যায়। গোলাপি বর্নের হওয়ার জন্য এরা চোখে পড়ার মত আকর্ষনীয় প্রাণী। সামুদ্রিক প্রাণী হিসাবে এরা পরিবেশের উপর বেশি ভুমিকা রাখে।
ক্রিশমাস প্রানীঃ
এরা ক্রিসমাস ট্রি এর মত সম্পূর্ন দেখতে। এজন্য এদের এমন নামকরন হয়েছে। এদের সম্পূর্ন শরীর রঙিন প্রকৃতির এবং স্প্রিং এর মত সর্পিল আকৃতির। স্প্রিং এর মত দেখতে অংশটি প্রাণীটির শ্বাসকার্জ চালায়। সমুদ্রের নিচে এমন সুন্দর প্রাণী খুঁজে পাওয়া অনেক বিরল। আসলেই সামুদ্রিক প্রাণী অনেক সুন্দর প্রকৃতির।
ডাম্বো অক্টোপাসঃ
ছাতার মত দেখতে অক্টোপাস এর নামই ডাম্বো অক্টোপাস। অন্য প্রাণীর কান যেখানে থাকে সেখানে পাখনা আছে যা দেখতে অনেকটা অদ্ভুত প্রকৃতির। সী-লেভেল এর থেকে ২৩০০০ ফিট নিচে এদের খুঁজে পাওয়া যায়। তারা তাদের বড় বড় কান প্রপেলার হিসেবে ব্যবহার করে পানির নিচে চলাচল করতে পছন্দ করে ।
হাঙ্গরের ভুতঃ
নাম শুনে অনেক অদ্ভুত হলেও এরা প্রকৃতপক্ষে ভূত নয়। এদের অস্ট্রেলিয়ায় তাশমানিয়া দ্বিপে পাওয়া যায় দেখা যায় এবং এরা এলিফ্যান্ট ফিশ নামেও পরিচিত। নিউজিল্যান্ডের উপকুলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এটি কিউট প্রাণীর মধ্যে অন্যতম। সামুদ্রিক প্রাণী হিসেবে এরা মোটেও ভয়ংকর নয় বরং এদের সম্পর্কে খুব লোক জানে না।
পরিশেষে, এ রকম অজানা সামুদ্রিক প্রাণী গুলোর সম্পর্কে জানার অভিজান অব্যাহত থাকবে এবং আপনাদের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হবে। সামুদ্রিক প্রানির সৌন্দর্যের শেষ নেই। এজন্য মানুষ সমুদ্রের নিচের অজানা রহস্য উদঘটন করার জন্য বার বার সমুদ্রের তলদেশে ডুব দিয়ে অজানাকে জানার চেষ্টা করে থাকে। অজানা সামুদ্রিক প্রাণী সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং নিজেদের মন্তব্য সোশ্যল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের সাথেই শেয়ার করুন।
সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।
Tags: এলিয়েন, পলিপয়েড, মেডুসয়েড, সামুদ্রিক প্রাণী
For add