গবেষণা মনোভাব তৈরিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফি’ শীর্ষক সেমিনার

স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফির প্রয়োজনীয়তা এবং জুনিয়রদের মাঝে গবেষণা মনোভাব তৈরি করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ‘স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফি’ বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফি হলো পৃথিবীর মহাসাগরের বিভিন্ন ভৌত, জৈবিক এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য অধ্যয়নের জন্য উপগ্রহ ভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

সহযোগী অধ্যাপক মোঃ এনামুল হক-এর সহযোগিতায় অনুষদের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী এই সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উদ্যোক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী একেএম নূরে আলম মোর্শেদুজ্জামান মিমন এবং ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সামিউল আহসান সানি। এছাড়া আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তাহসিন, ইব্রাহিম, শান্ত, অলয় এবং শুভ।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি ড. মো. মোসলেম উদ্দিন মুন্না, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ওয়াহিদুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকার এবং মেরিন সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ তাইমুর।

ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না তার বক্তব্যে বলেন, ‘নতুন ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং-এ ওশানোগ্রাফি সম্পর্কিত নতুন ল্যাব স্থাপন করা হবে। যেখানে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান চর্চা, অন্বেষণ এবং সৃষ্টির তীর্থস্থান। এখানে ছাত্রছাত্রীরা যেমন শিক্ষকের কাছে শিখছে, উৎসাহ পাচ্ছে, উজ্জীবিত হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানে, তেমনি শিক্ষকেরাও প্রতিনিয়ত শিখছে এবং শেখাচ্ছে। সিনিয়র শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে, ছোটদের শেখাচ্ছে এবং উদ্দীপ্ত করছে জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে।’

সেমিনারে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফির রিমোট সেন্সিং ও জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম) নিয়ে বক্তব্য রাখেন ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীর দিবস দেব। মূলত রিমোট সেন্সিং বলতে, উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো জায়গার ছবি সংগ্রহ করতে সাহায্য করাকে বোঝায়। জিআইএস হলো তথ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভৌগোলিক তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করার প্রক্রিয়া। যা কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়।

একই সেশনের অনামিকা দাস কণা স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। একেএম নুরে আলম মোর্শেদুজ্জামান মিমন শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার নির্ভর বিভিন্ন সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত করে এর ব্যবহার সম্পর্কে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। সে সঙ্গে কিভাবে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলতে পারে সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন।

জলবায়ু ও মহাসাগর মডেলিং, জলবায়ু পূর্বাভাস এবং মৎস্য ব্যবস্থাপনায় কিভাবে স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফি কাজ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এেই সেমিনারে। যেখানে ফিজিক্যাল ওশানোগ্রাফির বর্তমান কাজ নিয়ে কথা বলেন ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র সামিউল আহসান সানি।

সেমিনারে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাদের বক্তব্যে আশা করা যাচ্ছে, সামনে সমুদ্রবিদ্যায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন আরো অনেক শিক্ষামূলক সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে। যাতে করে সমুদ্রবিদ্যায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদেরকে দক্ষ করে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে পারে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , ,

সব সংবাদ

For add

oceantimesbd.com