ওশানটাইমস ডেস্ক : ১০ মে ২০২৩, বুধবার, ১৬:৫০:২৮
সিডর- বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা প্রলয়ঙ্কারী এক ঘূর্ণিঝড়ের নাম। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে তাণ্ডব চালালেও এই নামটি ছিল শ্রীলঙ্কার দেওয়া। যার অর্থ- চোখ।
সিডর যেমন শ্রীলঙ্কার দেওয়া ছিল তেমনিভাবে আইলার নাম দিয়েছিল মালদ্বীপ। আম্পান ছিলো থাইল্যাণ্ডের দেওয়া নাম। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২০২০ সালে উপকূলে আঘাত হানলেও এর নামকরণ হয়েছিল তারও ১৪ বছর আগে।
স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে কেন বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখলো শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ বা থাইল্যান্ড? কেনই বা ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হলো ২০০৪ সালে? বা ঘূর্ণিঝড়ের নামইবা কেন রাখা দরকার?
যেভাবে রাখা হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম
সমুদ্রে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করতে পূর্বে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর সময় বা তারিখসহ বিভিন্ন আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে হয় আবহাওয়াবিদদের। কিন্তু নামবিহীন থাকলে আঘাতহানা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বা ধরন সম্পর্কে পরবর্তীতে তথ্য জানা কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। সে জন্য বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ছয়টি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে।
২০০৪ সালে প্রথমবার নামকরণ শুরুর সময় ৬৩টি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। সেগুলো শেষ হলে ২০২০ সালের এপ্রিলে পূনরায় সম্ভাব্য ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকার অনুমোদন দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা।
এই তালিকার নামগুলো প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশসহ মোট ১৩টি দেশ। বাকি ১২টি দেশ হলো ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। আম্পানই ছিলো এই তালিকার প্রথম নাম।
কখন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়?
সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ প্রথমে নিম্নচাপ, তারপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। শক্তিশালী হয়ে উঠলে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। তখনই আগে থেকে নির্ধারিত তালিকা ধরে একটি নাম দেওয়া হয়ে থাকে ঘূর্ণিঝড়টির। সাধারণত নামগুলো হয় আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কিছুর নামে। কোনো ঘূর্ণিঝড়ের নামেরই পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
For add